যেকারণে পায়রা ইট পরিবেশবান্ধব

বরিশালে পরিবেশবান্ধব অটোব্রিক
পায়রা সিরামিক কারখানায় পরিবেশ নীতিমালা কয়েকটি ধাপে নিশ্চিত করা হয়। যেমন-
০১. সাধারণ ইট ভাটায় কৃষি মাটি ব্যবহার করা হয়। ফলে জমির উর্বরতা কমে গিয়ে ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
কিন্তু পায়রা কারখানায় কৃষি মাটির সাথে নদীর পলি মাটি ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া মাটি কাটার স্থানকে জলাধারে রূপান্তর করে মাছ চাষের উপযোগী করা হচ্ছে।
০২. সাধারণ ভাটায় হাতে ইট তৈরির সময় প্রচুর পানি দরকার হয়। এজন্য পানিতে লবণ থাকলে ইটের কোয়ালিটিও খারাপ হয়।
পক্ষান্তরে, অটোব্রিক তৈরিতে অতিরিক্ত পানি দরকার হয় না। মাটি কয়েকদফা গুড়া করে হাইড্রোলিক প্রেশারে মাটির কেক তৈরি হয়। তাই পায়রা ফ্যাক্টরিতে পানির অপচয় হয় না।
০৩. পায়রা করাখানায় মাটির লম্বা কেক কাটার পর যতটুকু অতিরিক্ত থাকে সেটা আবার মিক্সারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া পুড়ানোর আগে শুকনো ইটে খুঁত থাকলে সেগুলো রিসাইকেল করা হয়। সাধারণ ভাটায় এটা সম্ভব হয় না।
০৪. পায়রা কারখানায় চুল্লির জ্বালানিতে ব্যবহৃত হয় কয়লা। শুকনো কাঠের তুলনায় কয়লায় দূষণ কম হয়। এছাড়া যে হিট তৈরি হয় সেটার কিছু অংশ ব্লোয়ার দিয়ে টেনে ড্রায়ারে ইট শুকাতে ব্যবহার হয়।
এমন কি পুড়ানো গরম ইট থেকে যে তাপ নির্গত হয় সেটাও টেনে নিয়ে ব্যবহৃত হয় ইট শুকাতে। সবমিলিয়ে কোনো তাপ অপচয় হতে দেয়া হয় না।
০৫. পায়রা ইটে আদর্শ আকার নিশ্চিত করা হয়। ৯.৫/৪.৫/২.৭৫ ইঞ্চি। এছাড়া ইটের এক পাশে কোম্পানির নাম ব্যবহার করা হয় ছোট করে।
পক্ষান্তরে- সাধারণ ইটের আকার ছোট বড় হয় এবং মাঝখানে গর্ত করে বড় করে কোম্পানির নাম লেখা হয়। এতে গাথুনির সময় মশলা বেশি লাগে। এসব কারণে পায়রা ইট সাশ্রয়ী।
০৬. পায়রা ইট দেখতে সুন্দর। আপনি চাইলে প্লাস্টার ছাড়া দেয়াল করতে পারবেন। এতে প্লাস্টারের খরচও কমে যাবে।
০৭. পায়রা ইটের ঘনত্ব বেশি। অর্থাৎ এর বডিতে পোর বা ফাঁকা স্পেস কম। ফলে এটি পানি শোষণ করে কম। এদিক দিয়েও এই ইট সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব।